ঢাকা, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১২ই জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী

দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার মাধ্যমে অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব


প্রকাশিত: 9:47 PM, November 17, 2019

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে সরকারি ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, পিএ কমিটি, সিএজি, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে সরকারী অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ এবং সংসদ সদস্যদের সাথে বিশেষজ্ঞদের মতবিনিময়ের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। স্পিকার আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ব ব্যাংক বাংলাদেশ আয়োজিত “প্রমোটিং একাউন্টেবেলিটি এ্যান্ড ইন্টেগ্রেটি ইন গভর্নমেন্ট স্পেন্ডিং” শীর্ষক সাউথ এশিয়া একাউন্টেবেলিটি রাউন্ডটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থেকে সরকারী অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অধিকতর সতর্ক ও সচেতন হলে প্রকল্প ব্যয় হ্রাস পায় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। তিনি বলেন, সরকারী অর্থের ব্যবস্থাপনা ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। সরকারের সব কাজে স্বচ্ছতার প্রতিফলন ঘটাতে সততা ও দায়িত্বশীলতার বিকল্প নেই। এ প্রক্রিয়ায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

এ আলোচনার আয়োজন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে স্পিকার বলেন, এ আয়োজন সকলকে সরকারী অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে অধিকতর সচেতন করবে। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং ভারতের সিএজি ও ডিরেক্টর জেনারেল সুনীল শ্রীকৃষ্ণ।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সরকারী ব্যয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, দায়িত্বশীলতা ও সততা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত কমিটি (পিএ) এবং বাংলাদেশের মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অফিস কাজ করছে। জাতীয় সংসদের পিএ কমিটি সরকারের কার্যক্রম তদারকি করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে থাকে। পাশপাশি সরকারী ব্যয় সম্পর্কিত সিএজি রিপোর্ট পরীক্ষাও করে থাকে। এক্ষেত্রে পিএ কমিটির সুপারিশসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

তিনি বলেন, পিএ কমিটি, সিএজি, দুদকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে সরকারী অর্থের অপচয় রোধ করা সম্ভব। তিনি সরকারী অর্থ ব্যয়ের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ এবং সংসদ সদস্যদের সাথে বিশেষজ্ঞদের মতবিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

স্পিকার বলেন, সরকারী অর্থের অপব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়লে প্রশাসন, রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থায় জবাবদিহিতা ও দায়িত্বশীলতা ক্রমেই লোপ পায়। ফলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যায়। এতে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পায় এবং বাজেট ঘাটতি দেখা যায়। প্রতিটি সেক্টরে অর্থের অপচয় রোধ করতে পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাংলাদেশকে আরও উজ্জ্বল অবস্থানে নিয়ে যাবে। অনুষ্ঠানে একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারী হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ রুস্তম আলী ফরাজী, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুস শহীদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।